পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিব কখনোই প্রকাশ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেননি ।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে ইসলামবিরোধিতার অভিযোগ উঠলে তিনি নিজেকে "ইনসাফের ইসলামে বিশ্বাসী" বলে পরিচয় দেন - ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে নয়। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান এক বেতার ভাষণে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই। এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রাসূলে করীম (সা.) এর ইসলাম। যে ইসলাম জগৎবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। ইসলামের সুবক্তা সেজে পাকিস্তানের মাটিতে বারবার যারা অন্যায় অত্যাচার শোষণ বঞ্চনার পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছেন, আমাদের সংগ্রাম সেই মোনাফেকদেরই বিরুদ্ধে। যে দেশের শতকরা ৯৫ জনই মুসলমান, সে দেশে ইসলামবিরোধী আইন পাসের সম্ভাবনার কথা ভাবতে পারেন কেবল তারাই যাদের ঈমানই আদতে নাজুক আর ইসলামকে যারা ব্যবহার করেন দুনিয়াটা ফায়েস্তা করে তোলার কাজে। অতএব আমরা যারা আল্লাহর মজলুম বান্দাদের জন্য সংগ্রাম করছি, তারা ইসলামের বিরোধিতা করাতো দূরের কথা বরং ইসলামের বিধান মতে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠারই উমেদার, আর সে ব্যাপারে প্রতিবন্ধক হলেন তারাই যারা ইসলাম বিপন্নের জিগির তুলে জনগণকে ধোঁকা দিতে চান।’’ (মুজিবের রচনা সংগ্রহ, বাংলাদেশ কালচারাল ফোরাম ৮৪-৮৫ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য) উপরের আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ইসলাম বিরোধী কোন প্রচারণা তো ছিলোই না বরং উল্টো ইসলামের পক্ষে কথা ছিলো। একই সাথে ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিলো না, বরং লাইনে লাইনে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিলো। তাহলে যারা শেখ মুজিবর রহমানের দোহাই দিয়ে , মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে তারা স্বাধীনতাবিরোধী , মিথ্যাবাদী , প্রতারক।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
ছাত্র আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত, দিনাজপুর জেলা শাখা। | CHATRO ANJUMAN ( DINAJPUR )

Uswatun Hasanah

0 comments:

Post a Comment